Search This Blog

Friday, December 19, 2014

পানির নিচে যত সব অবাক করা স্থাপনা !

পৃথিবীতে এমন অনেক অবাক করা স্থাপনা আছে যেগুলা পানির নিচে তৈরি করে হয়েছে। আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো এমন সব মজার মজার জায়গার সাথে যেগুলো মানুষের ছুটি কাটানোর জন্য বা অবসরে ভ্রমনের জন্য বিখ্যাত।
পানির নিচে ফাইভস্টার হোটেল
প্রথমে যার কথা আশে সেটি হচ্ছে একটি পাঁচতারকা হোটেল। এটি আফ্রিকাতে অবস্থিত। পানির নিচে ছুটি কাটানোর জন্য এটি একটি আদর্শ যায়গা। দিন দিন ক্রমশই বাড়ছে এখানে দর্শনার্থীদের ভির। এই ভিন্নধর্মী স্থান অবস্থিত তানজানিয়া অথবা জাঞ্জিবারের উপকূলবর্তী এলাকায়। এখানে একটি রাত কাটাতে হলে আপনাকে গুনতে হবে প্রায় দেড় হাজার মার্কিন ডলারের মতো। কিছুদিন আগে প্রশান্ত মহাসাগরের ১৩ ফুট নিচে তৈরি করা এই হোটেলের উদ্বোধন করা হয়। হোটেলে তিনটি অংশ রয়েছে, একটি সুন্দর ব্যালকনি, ডাইনিং রুম এবং একটা প্রশস্থ বেডরুম। এখানে আপনি সময় কাটবেন সমুদ্রের বিরল সব মাছেদের সঙ্গে সময় সময় দেখা মিলবে হিংস্র হাঙ্গর মাছের সাথে। তবে ভয় নেই সেটি আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না কারন হোটেলটি স্বচ্ছ এবং সর্বচ্চ পুরুকাঁচ দিয়ে ঘেরা। রুমের ব্যলকনিতে যেয়ে দাঁড়ালে আপনার মনে হবে যেন আপনি এক মাছেদের আজব চিড়িয়াখানার মধ্যে বসবাস করছেন। স্বচ্ছ কাচের দেয়ালের তৈরি এই হোটেলে রাতের খাবারের পরিবেশ পাবেন স্বপ্নের মতো। হোটেলের ওপর তলাটা হচ্ছে একটা ব্যালকনি। মনে চাইলে রাতের বেলায় ওখানে বসে তারা ভরা আকাশ দেখতে পারেন। মাঝখানের তলাটা হচ্ছে একটি সুবিশাল ডাইনিং স্পেস। এখানে বশে দেখতে পারবেন সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। রুমের একেবারে ওপরের তলাটায় দিনের বেলায় সূর্যস্নানের উপযোগী। রাতের বেলায় তারাখচিত আকাশের নিচে বসে রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন হওয়ার মতো পরিবেশও রয়েছে।
পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া শহর
আজ অবধি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এমন অনেক শহরের সন্ধান মিলেছে। তবে ঠিক কি কারনে এবং কিভাবে এই শহর গুলা পানির নিচে হারিয়ে গেছে তার সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞান এখনো দিতে পারেনি। ভিন্ন ভিন্ন মতামত আছে অনেকের, কেউ মনে করে ঈশ্বরের অভিশাপ কেউ বা মনে করে খারাপ আত্মার প্রভাব। তো সে যাই হোক আজকে জানবেন এমনি একটি শহরের কথা যেটি চিনে অবস্থিত যার নাম “লায়ন সিটি”। শহরটির একাবারে পেছনে ছিল ‘উ শি মাউন্টেন’ বা ফাইভ লায়ন মাউন্টেন নামের পর্বত। শহরটির বয়স প্রায় ১৩০০ বছর। প্রায় ৫৩ বছর আগে একটি কৃত্রিম হ্রদ সৃষ্টির লক্ষে বাঁধ তৈরি করার সময় প্রাচীন ও পরিত্যক্ত শহরটি পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে যায়। শহরটির আরেকটি নাম “শি চেং”। এই শহরটি প্রায় ৬২টি ফুটবল মাঠের সমান। তাহলে ভেবে দেখুন এটি কতটা বড়। ২০০১ সালে প্রথমদিকে এই শহর নিয়ে গবেষণা শুরু করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। পরবর্তীতে শহরটি নিয়ে মানুষের কৌতূহল বাড়তে থাকে। আবিষ্কার হতে থাকে শহরের পুরনো নানা নিদর্শন। বর্তমানে “লায়ন সিটি” পানির নিচে প্রায় ৮৩-১৩১ ফুট নিচে অবস্থান করছে। পানির নিচে এত বছর থাকার পরও শহরটি এর স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। লায়ন সিটি নিয়ে নানা কল্পকথা প্রচলিত আছে। ঠিক কীভাবে শহরটি পানির নিচে হারিয়ে যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। তবে শহরটির সৌন্দর্য পানির নিচে আজও এতটুকু কমেনি।
পানির নিচে পোষ্ট অফিস
আপনি শেষ কবে চিঠি লিখেছিলেন বলতে পারবেন? আমার মনে হয় পারবেন না কারন এই ডিজিটাল যুগে সবাই চাই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। তবে প্রযুক্তির বিকাশ যতই ঘটুক চিঠির গুরুত্ব ও আবেদন কিন্তু এতটুকু কমেনি। এমন অনেকেই আছেন যারা সময় পেলে ভালোবাসেন চিঠি লিখতে। প্রিয়জনের চিঠি পড়ার আনন্দ কিন্তু সত্যি একটু অন্যরকম আর সেটি যদি হয় এই ডিজিটাল যুগে তবে তো কথায় নেই। আর ঠিক এই ধারনাকে পুঁজি করে এবার পানির নিচেও বসানো হয়েছে ডাকঘর। মূলত পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য সমুদ্রের পানির নিচে ডাকঘর বসানো হয়েছে। পর্যটকরা ইচ্ছে করলে এ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তার প্রিয়জনদের চিঠি লিখে বার্তা পাঠাতে পারবেন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৫০ মিটার গভীরে নিমজ্জিত এই বিস্ময়কর পোস্ট অফিসটির নাম ‘ভ্যানুয়াটু পোস্ট অফিস’। ডাকঘরটি পুরোপুরি পানিরোধক হওয়ায় আপনার চিঠির মোটেই কোনো ক্ষতি হবে না। এই অভাবনীয় সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছেন হাইডএওয়ে আইল্যান্ডের ৬৮ বছর বয়সী “মাইক ক্রোফোর্ড”। পর্যটকরা ইচ্ছে করলে সাঁতারের প্রয়োজনীয় উপকরণসহ পানির নিচে গিয়ে এ বিশেষ পোস্ট অফিসটি পরিদর্শনও করতে পারবেন। চিঠিগুলো নিয়মিত সংগ্রহ করে বিশেষ ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে গন্তব্যে পাঠানো হয়।
ডুবন্ত সেতু
কখনো শুনেছেন পানির নিচে সেতু বা ব্রিজ থাকতে পারে? কথাটা শুনলে প্রথমে আপনি একটু অবাক হবেন। কিন্তু না পানির নিচে ডুবন্ত সেতু নির্মাণের কলাকৌশল কিন্তু মোটেও নতুন কিছু নয়। শত বছর আগেও এ ধরনের সেতু নির্মাণ করা হতো। এই ধরনের ডুবন্ত সেতু দেখা মিলবে অস্ট্রিয়ায়। বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান দেশের মানুষ ছুটে আসে এই সেতু দেখতে। সপ্তদশ শতকের দিকে ডুবন্ত সেতুর প্রচলন ছিল খুব বেশি। তখনকার সময় ডাচ ভূমিকে শত্রুর আক্রমণ থেকে মুক্ত রাখার জন্য বিশেষ কারিগরি নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে ডুবন্ত সেতু তৈরি করা হতো। স্থলপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে পানির নিচ দিয়ে গোপন রাস্তা নির্মাণ করার কৌশল হিসেবে এটি অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কিন্তু পানির নিচের ভূমিও সব জায়গায় সমতল ছিল না। বিভিন্ন খানাখন্দ পারাপারের জন্য ডুবন্ত সেতুর প্রয়োজন দেখা দেয়। সে কারণে তৈরি করা হয় ডুবন্ত সেতু। এই সেতুগুলো প্রায় পুরোটাই পানির নিচে অবস্থিত। আপনি যখন এই সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে যাবেন তখন আপনার শরীরের বেশির ভাগ পানির নিচে থাকবে। দেখে মনে হবে আপনি পানির নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।

Thursday, December 18, 2014

২০১৪ সালের সবচেয়ে দামী ও সেরা ১০টি সুপার কার !

২০১৪ সালে বাজারে এসেছে নতুন নতুন সব সুপার কার। গাড়িগুলো এতোটাই সুন্দর আর স্পিডি যে বিচার করাই দায় যে কোনটাকে রেখে কোনটার কথা আগে বলবো। আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো এমন ১০টি সুপার কারের সাথে যেগুলা এই বছরে ছিল সেরাদের তালিকায়।
১। তালিকার সবার উপরে আছে ৪.৫$ মিলিয়ন দামের
ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো রোডস্টার । ল্যাম্বরগিনি গাড়িটির বডি সম্পূর্ণ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি করছে যার দরুন এটি হয়েছে অনেক হালকা গড়নের। এটি ইটালিয়ান একটি কোম্পানি যারা শুরু থেকে সুপার কার তৈরি করে আসছে।
এক নজরে গাড়ির বৈশিষ্ট-
ইঞ্জিন ৭৫০হর্স পাওয়ার, ৬.৫লিটার, সাথে ১২টি সিলিন্ডার।
গাড়িটি ০ থেকে ১০০ কিমি গতি ওঠাতে পারে মাত্র ২.৯ সেকেন্ডে।
গাড়িটির বাজার মূল্য ৪.৫$ মিলিয়ন ডলার।
সর্বচ্চ গতি ৩৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
২। তালিকার দ্বিতীয় নাম্বারে আছে ফ্রান্সের তৈরি
বুগাটি ভেরন ১৬.৪ গ্র্যান্ড স্পোর্টস ভাইটেসিস । বুগাটির বর্ণনা মনে এটি বর্তমানের সবচেয়ে দ্রুতগামি সুপার কার। কোম্পানি এ পর্যন্ত এই মডেলের ৪৫০ টি কার তৈরি করেছে যার মধ্যে আর মাত্র ৫০ টি অবশিষ্ট আছে। বাকি গাড়িগুলো তৈরি হবার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে গেছে।
এক নজরে গাড়ির বৈশিষ্ট-
ইঞ্জিন ১,২০০হর্স পাওয়ার, ৮ লিটার, সাথে ১৬টি সিলিন্ডার।
০ থেকে ১০০ কিমি গতি ওঠাতে পারে মাত্র ২.৬ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ২.৫$ মিলিয়ন।
সর্বচ্চ গতিবেগ ৪১১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
৩। কোয়েইনজেগ আগেরা এস এই গাড়িটি আছে তালিকার ৩ নাম্বারে। এটি এই কোম্পানির তৈরি সর্বশেষ এবং সেরা মডেলের গাড়ি। গাড়িটির উৎপাদন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সুইডেন ভিত্তিক। এই বছরে তাঁরা গাড়িটি ইউএসএর বাজারে ছেড়েছে এবং খুব আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছে।
আসুন দেখে নেয়া যাক এক নজরে গাড়ির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট গুলো-
ইঞ্জিন ১,০৩০ হর্স পাওয়ার, টুইন টার্বো, ৫লিটার ভি-৮ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিমি ঘণ্টা গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ২.৯ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ১,৫২০,০০০$
সর্বচ্চ গতিবেগ ৩০২ কিলোমিটার যেটি ওঠাতে সময় লাগে মাত্র ২২.৭ সেকেন্ড।
৪। তালিকার ৪ নম্বরে আছে যুক্তরাজ্যের তৈরি হেনেসেই ভেনম জিটি । এটি একটি অসাধারণ সৃষ্টি। গত ২০১৩ সালে গাড়িটি যখন টেস্ট ড্রাইভ দেয়া হয়েছিলো তখন এটি সর্বচ্চ গতিবেগ তুলতে সক্ষম হয়েছিলো প্রায় ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আরেকটি অবাক করা বিষয় হল এই গতিবেগ তুলতে গাড়িটির সময় লেগেছিল মাত্র ১৩.৬৩ সেকেন্ড। বাজারে এখন পর্যন্ত এই গাড়ি সর্বমোট ২৯ টি ছারার কথা আছে আর ইতিমধ্যে ১১টি গাড়ি বাজারে ছাড়া হয়ে গেছে। যার ৫টি পাওয়া যাবে ইউএসএ।
কি কি আছে গাড়িতে? এক নজরে
ইঞ্জিন ১,২৪৪ হর্স পাওয়ার, ৭লিটার, টুইন টার্বো ভি৮ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি ওঠাতে পারে মাত্র ২.৭ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১.২ মিলিয়ন ডলার।
সর্বচ্চ গতিবেগ ৩০০ কিলোমিটার যা ওঠাতে সময় লাগে মাত্র ১৩.৬৩ সেকেন্ড।
৫। তালিকার ৫ নাম্বারে আছে জার্মানির তৈরি
পরশে ৯১৮ স্পাইডার । এই কোম্পানিটি প্রায় শুরু থেকে সুপার কার তৈরিতে সেরা। আর আগে একটি মডেল তাঁরা তৈরি করেছিলো যেটির নাম ৯১১ টার্বো। ওই গাড়িটি প্রচুর সুনাম কুড়িয়েছিল এবং এখনো বাজারে সুনামের সাথে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মডেলের গাড়িটি একটি হাইব্রিড কার যে গ্যাসোলিন এবং ব্যাটারি পাওয়ার ২টার সংমিশ্রণে চলে। গাড়িটি হালকা করার জন্য এর বডিতে ব্যাবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার।
এক নজরে গাড়ির মূল বৈশিষ্ট-
ইঞ্জিন ৮৮৭ হর্স পাওয়ার, ৪.৬ লিটার ভি৮ ইঞ্জিন সাথে ২টি ইলেক্ট্রিক মোটর লাগানো আছে পেছনের চাকার সাথে যার দরুনএটি হাইব্রিড কার।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে গাড়িটির সময় লাগে মাত্র ২.৫ সেকেন্ড।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৯২৯,০০০$
৬। রোলস-রয়েস আছে তালিকার ৬ নাম্বারে। এই কোম্পানিটি শুরু থেকেই রয়্যাল ক্লাস গাড়ি উৎপাদনে খ্যাতি লাভ করেছে। আর এবারো সেটির বিকল্প হয়নি। পৃথিবীতে যত বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন তাঁরা রোলস-রয়েস গাড়ি চরতে ভালবাসেন। গাড়িটি ম্যাড বাই যুক্তরাজ্য।
এক নজরে দেখে নেই কি কি আছে এই গাড়িতে-
ইঞ্জিন ৪৫৩ হর্স পাওয়ার, ৬.৭৫ লিটার ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ ওঠে ৫.৮ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮,৯০০$
গাড়িটি রয়্যাল ক্লাস তাই এটির সাথে স্পোর্টস মডেলের তুলনা না করায় শ্রেয়।
৭। দুর্ভাগ্য জনক ভাবে আমাদের সকলের প্রিয় ফেরারি আছে তালিকার ৭ নাম্বারে। তালিকার এই অবস্থানে আছে ফেরারির নতুন ডিজাইন করা “এফ ১২ বিরলিনিটা”। এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ফেরারির মধ্যে এটি বেস্ট এক্সিলেট সমৃদ্ধ ফেরারি। এর গতিবেগ সর্বচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪০ কিলোমিটার। এটি ইটালির তৈরি অন্যতম একটি বিখ্যাত গাড়ির কোম্পানি।
গাড়ির মূল বৈশিষ্ট এক নজরে-
৭৪০ হর্স পাওয়ার, ৬.৩ লিটার, ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ৩.১ সেকেন্ডে।
গাড়িটি টেস্ট ড্রাইভে ২০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম হয়েছিলো মাত্র ৮.৫ সেকেন্ডে এবং সর্বচ্চ গতিবেগ ৩৪০ কিলোমিটার।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৩১৫,৮৮৮$
৮। বেন্টলি মালসানি আছে তালিকার ৮ নাম্বারে। গাড়িটি আমাদের কাছে অপরিচিত হলেও বহির্বিশ্বে এর বেশ ভালোই নামডাক আছে। এটিও একটি রয়্যাল ক্লাস কার। এবং এর ডিজাইনও বেশ রাজকীয়। আমি বলবো রোলস-রয়েস থকে এটি কোন অংশে কমা হবেনা।
আসুন এক নজরে জেনে নেই গাড়ির বিস্তারিত।
৫০৫ হর্স পাওয়ার, ৬,৭৫লিটার টুইন টার্বো ভি৮ ইঞ্জিন।
রয়্যাল ক্লাস গাড়ি তাই ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সময় লাগে ৫.১ সেকেন্ড। আমি বলবো খারাপ না।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮,৯০০$।
ম্যাড বাই যুক্তরাজ্য।
৯। তালিকার ৯ নাম্বারে আছে আমার প্রিয় অ্যাস্টন মার্টিন কোম্পানির নতুন মডেলের সুপার কার “ভেনকুইস ”। এটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি কোম্পানি যারা রেসিং প্লাস সেলুন এই দুই ধরনের গাড়ির সংমিশ্রণে গাড়ি তৈরি করে থাকে। এই গাড়িটি যারা কিনবে তাঁরা পাবে ইচ্ছা মতো কাস্টমাইজ করে নেবার সুজক। গাড়িটির বডি সম্পূর্ণ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি করা। ক্রেতারা ইচ্ছা করলে তাদের মনের মতো রঙ এবং ইন্টেরিওর ডিজাইন করে নিতে পারবেন।
এক নজরে গাড়ির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট-
৫৬৫ হর্স পাওয়ার, ৬ লিটার ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ৪.১ সেকেন্ডে।
গাড়িটির বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৭৯,৯৯৫$
১০। আমার প্রিয় আরেকটি ব্র্যান্ড মার্সিডিজ বেঞ্জ আছে তালিকার একেবারে শেষ নাম্বারে। জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেঞ্জের এবারের নতুন মডেলের নাম দিয়েছে “সিএল৬৫ এএমজি কোপ”। মানসম্মত গাড়ি তৈরির জন্য প্রথম থেকেই এই কোম্পানির অনেক নাম দাক আছে। এরা এখন পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে গাড়ি বাজারে ছেড়েছে এবং তুলনামূলক ভাবে এই গাড়ি কোম্পানির খুব বেশি রিপোর্ট শোণা যায়না।
জেনে নেই কি আছে এই গাড়িতে যার দরুন এটি তালিকার ১০ নাম্বারে উঠে এসেছে-
৬২১ হর্স পাওয়ার, ৬ লিটার, বি-টার্বো ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ৪.২ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২১৫,৫০০$
বাংলাদেশের বাজারে গাড়ি গুলো পাওয়া যায় না বা ভবিষ্যতে আমাদের দেশে আসার সম্ভাবনাও অনেক কম তবে এটি মনে করবেন না যে বাংলাদেশে এমন গাড়ি নেই। ঢাকার রাস্তায় এখন ফেরারি, মার্সিডিজ বেঞ্জ, জেগুয়ার, ল্যান্ড রোভার, হ্যামার, পরশে, ইত্যাদি সব নামি দামী গাড়ি গুলো প্রাই চলতে দেখা যাচ্ছে। তাই আশা হতো হবার কিছু নাই।

২০১৪ সালের সেরা ১০টি বাইসাইকেল আবিষ্কার।।

বাইসাইকেল চালানো আমাদের সবারই অনেক পছন্দের। ছোটবেলায় সাইকেল চালানো নিয়ে আব্বু-আম্মুর কাছে অনেক বকাও শুনেছে অনেকেই। তারপরেও কে শোনে কার কথা সময় পেলেই বের হতে হবে সাইকেল নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২০১৪ সালের বাইসাইকেল নির্ভর ১০টি সেরা আবিষ্কার নিয়ে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
১। স্কুইবুল প্রো-কোর টায়ার সিস্টেম- যারা মাউন্টেন বাইক চালায় তাদের জন্য চাকার হাওয়ার প্রেশার ঠিকমতো বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন হাওয়া যদি বেশি হয় তবে পাহাড়ে চলার সময় বাইকের চাকা মাটিকে ধরে রাখার আকর্ষণ হারাবে। আর যদি কম হয় তবে আপনি সেখানে সাইকেল চালাতেই পারবেন না। এর এই কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে ৩ স্তরের প্রো-টায়ার সিস্টেম।
২। হ্যান্ড গ্লভস সাথে টার্ন লাইট- আপনি যখন বাইসাইকেল চালাবেন তখন অনেক সময় ডানে-বায়ে যেতে হতে পারে। কেমন হবে যদি আপনার হাতের সাথে চলে আশে একটি টার্ন লাইট। জী এমন একটি হ্যান্ড গ্লাভস বাজারে এসেছে যেটা আপনি পড়ে সাইকেল চালাবেন আর প্রয়োজন মতো হাত উঁচু করে সিগন্যাল দিতে পারবেন। এটির দাম কিন্তু বেশি না মাত্র ৭৫$ এর মতো ।
৩। কালফি সিঙ্গেল কনভার্টেবল সাইকেল- অনেকেই আছেন যারা ডুয়াল সাইকেল চালাতে পছন্দ করেন। তবে এখানে একটি সমস্যা আছে, যেমন আপনি যখন দুয়াল সাইকেল চালাবেন তখন আপনার ইচ্ছা মতো এটি চলবে না। তবে নতুন এই ডিজাইনে আপনি চাইলে আপনার মনের মতো করে প্যাডেল করে সাইকেল চালাতে পারবেন।
৪। সোলার পাওয়ার স্কাই লক- এটি একটি অসাধারণ আবিষ্কার। ধরুন আপনি আপনার সাইকেলটি লক করে রেখে গেছেন হঠাথ একটি চোর আপনার বাইসাইকেলটি তালা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে গেলো। এমনটি প্রায় প্রায় হয়ে থাকে। আর সেই কথা মাথায় রেখে বাজারে এসেছে সোলার লক। এটি একটি ডিজিটাল লক সিস্টেম। আপনি চাইলে আপনার স্মার্টফোন দিয়ে ইচ্ছা মতো সাইকেলটির লক খুলতে পারেন। লকটিতে একটি ব্যাটারি আছে যেটি আপনি ইউএসবির মাধ্যমে বা স্বয়ংক্রিয় সোলার চার্জের মাধ্যমে চার্জ করতে পারবেন। আপনার পছন্দের বাইসাইকেল সেফ রাখার জন্য এটি একটি বেস্ট প্র্যাকটিস।
৫। বাইজেন বাইক- সচরাচর আমরা যেমন সাইকেল চালাই এই বাইসাইকেল তার উল্টা। মানে আমরা যেমন সাইকেল চালাতে হলে পুরো প্যাডেল ঘুরাতে হয় এটির ক্ষেত্রে ঠিক তেমন করতে হবে না। আপনি সাইকেলের সিটের ওপরে বশে জাস্ট প্যাডেল তা উপর নিচে করবেন আর সাইকেল চলবে। চালকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে প্যাডেলের সাথে ৩টি গিয়ার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। চালক তার সুবিধা মতো সেটি পরিবর্তন করে নিয়ে চালাতে পারবে।
৬। সিমানো ইলেক্ট্রনিক স্টাফিং- এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ইলেক্ট্রনিক ডিসপ্লে যা আপনার সাইকেলের সাথে লাগালে একই সাথে দেখতে পারবেন আপনার সাইকেলর গতি, কতো নাম্বার গিয়ারে আপনার সাইকেলটি চলছে, আপনার অবস্থান ইত্যাদি খুঁটিনাটি সবকিছু। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এটি ব্যাবহার করার জন্য আপনার আলাদা কোন ক্যাবল ব্যাবহার করতে হবে না।
৭। টায়ার পামচার ঠিক করার শর্টকাট- এটি একটি অসাধারণ টুলস। বাইসাইকেল যারা চালান তাদের একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে “টায়ার পামচার বা লিক হওয়া”। যখন আপনার টায়ার পামচার হবে তখন এই টুলস দিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ডর ভেতরে সেটি সারীয়ে নিতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে সেই স্থানে আর এমন লিক হবেনা।
৮। সাস্পেন্সন চাকা- এবার আপনার বাইসাইকেল হবে আরও দিগুন আরামদায়ক। এই স্বয়ংক্রিয় সাস্পেনশন চাকা আপনার সাইকেলে লাগিয়ে নিলে যত খারাপ রাস্তাই বাইক চালান কোন ঝাকুনি অনুভব করবেন না।
৯। নতুন রাবার গ্রিপ- অনেক বাইসাইকেল আছে যেগুলার হাতল বা হ্যান্ডল আরামদায়ক হয়না। এটি একটি ইজি ফিট রাবার গ্রিপ যা আপনার হাতের মাপ অনুযায়ী ফিট হয়ে থাকবে আর আপনার ভ্রমন হবে আরমদায়ক।
১০। অতিরিক্ত সুরক্ষিত মাউনটেইন বাইক- পাহাড়ে সাইকেল চলানোর অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে আপনার সাইকেলের চেন ছিঁড়ে যাবার ভয়। এই সাইকেলটি এমনভাবে ডিজাইন করে হয়েছে যে যত জোরাজোরি করেন না কেন আপনার সাইকেলের চেন ছিঁড়বে না। অনেক সময় দেখা যায় ধুলাবালির কারনেও সাইকেলের চেনে বা গিয়ার বক্স লক হয়ে যায় ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এই সাইকেলের ক্ষেত্রে এমন কিছু হবেনা। সাথে গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাবেন ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন গিয়ার।
আমাদের আফসোস যে এতো সুন্দর সুন্দর নিত্য নতুন প্রযুক্তি আমরা ইচ্ছা করেই ব্যবহার করতে পারিনা। তবে আমাদের দেশের বাইকাইরা তাদের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। ঢাকার রাস্তাই বের হলে এখন হর হামেশাই দেখা মিলে অনেক আধুনিক বাইকের। সত্যি বলতে বাইসাইকেলের কোন বিকল্প হতে পারেনা। এটি ব্যবহারে আপনি যেমন পাবেন পথ চলার সুবিধা সাথে সাথে হবে আপনার শারীরিক ব্যায়াম। আপনিও যদি মনে মনে যে একটি বাইসাইকেল কিনবেন তবে আমি বলবো আর দেরি না করে এখনি একটি বাইসাইকেল কিনে নেন।