Search This Blog

Thursday, December 18, 2014

২০১৪ সালের সবচেয়ে দামী ও সেরা ১০টি সুপার কার !

২০১৪ সালে বাজারে এসেছে নতুন নতুন সব সুপার কার। গাড়িগুলো এতোটাই সুন্দর আর স্পিডি যে বিচার করাই দায় যে কোনটাকে রেখে কোনটার কথা আগে বলবো। আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো এমন ১০টি সুপার কারের সাথে যেগুলা এই বছরে ছিল সেরাদের তালিকায়।
১। তালিকার সবার উপরে আছে ৪.৫$ মিলিয়ন দামের
ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো রোডস্টার । ল্যাম্বরগিনি গাড়িটির বডি সম্পূর্ণ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি করছে যার দরুন এটি হয়েছে অনেক হালকা গড়নের। এটি ইটালিয়ান একটি কোম্পানি যারা শুরু থেকে সুপার কার তৈরি করে আসছে।
এক নজরে গাড়ির বৈশিষ্ট-
ইঞ্জিন ৭৫০হর্স পাওয়ার, ৬.৫লিটার, সাথে ১২টি সিলিন্ডার।
গাড়িটি ০ থেকে ১০০ কিমি গতি ওঠাতে পারে মাত্র ২.৯ সেকেন্ডে।
গাড়িটির বাজার মূল্য ৪.৫$ মিলিয়ন ডলার।
সর্বচ্চ গতি ৩৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
২। তালিকার দ্বিতীয় নাম্বারে আছে ফ্রান্সের তৈরি
বুগাটি ভেরন ১৬.৪ গ্র্যান্ড স্পোর্টস ভাইটেসিস । বুগাটির বর্ণনা মনে এটি বর্তমানের সবচেয়ে দ্রুতগামি সুপার কার। কোম্পানি এ পর্যন্ত এই মডেলের ৪৫০ টি কার তৈরি করেছে যার মধ্যে আর মাত্র ৫০ টি অবশিষ্ট আছে। বাকি গাড়িগুলো তৈরি হবার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে গেছে।
এক নজরে গাড়ির বৈশিষ্ট-
ইঞ্জিন ১,২০০হর্স পাওয়ার, ৮ লিটার, সাথে ১৬টি সিলিন্ডার।
০ থেকে ১০০ কিমি গতি ওঠাতে পারে মাত্র ২.৬ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ২.৫$ মিলিয়ন।
সর্বচ্চ গতিবেগ ৪১১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
৩। কোয়েইনজেগ আগেরা এস এই গাড়িটি আছে তালিকার ৩ নাম্বারে। এটি এই কোম্পানির তৈরি সর্বশেষ এবং সেরা মডেলের গাড়ি। গাড়িটির উৎপাদন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সুইডেন ভিত্তিক। এই বছরে তাঁরা গাড়িটি ইউএসএর বাজারে ছেড়েছে এবং খুব আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছে।
আসুন দেখে নেয়া যাক এক নজরে গাড়ির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট গুলো-
ইঞ্জিন ১,০৩০ হর্স পাওয়ার, টুইন টার্বো, ৫লিটার ভি-৮ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিমি ঘণ্টা গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ২.৯ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ১,৫২০,০০০$
সর্বচ্চ গতিবেগ ৩০২ কিলোমিটার যেটি ওঠাতে সময় লাগে মাত্র ২২.৭ সেকেন্ড।
৪। তালিকার ৪ নম্বরে আছে যুক্তরাজ্যের তৈরি হেনেসেই ভেনম জিটি । এটি একটি অসাধারণ সৃষ্টি। গত ২০১৩ সালে গাড়িটি যখন টেস্ট ড্রাইভ দেয়া হয়েছিলো তখন এটি সর্বচ্চ গতিবেগ তুলতে সক্ষম হয়েছিলো প্রায় ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আরেকটি অবাক করা বিষয় হল এই গতিবেগ তুলতে গাড়িটির সময় লেগেছিল মাত্র ১৩.৬৩ সেকেন্ড। বাজারে এখন পর্যন্ত এই গাড়ি সর্বমোট ২৯ টি ছারার কথা আছে আর ইতিমধ্যে ১১টি গাড়ি বাজারে ছাড়া হয়ে গেছে। যার ৫টি পাওয়া যাবে ইউএসএ।
কি কি আছে গাড়িতে? এক নজরে
ইঞ্জিন ১,২৪৪ হর্স পাওয়ার, ৭লিটার, টুইন টার্বো ভি৮ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি ওঠাতে পারে মাত্র ২.৭ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১.২ মিলিয়ন ডলার।
সর্বচ্চ গতিবেগ ৩০০ কিলোমিটার যা ওঠাতে সময় লাগে মাত্র ১৩.৬৩ সেকেন্ড।
৫। তালিকার ৫ নাম্বারে আছে জার্মানির তৈরি
পরশে ৯১৮ স্পাইডার । এই কোম্পানিটি প্রায় শুরু থেকে সুপার কার তৈরিতে সেরা। আর আগে একটি মডেল তাঁরা তৈরি করেছিলো যেটির নাম ৯১১ টার্বো। ওই গাড়িটি প্রচুর সুনাম কুড়িয়েছিল এবং এখনো বাজারে সুনামের সাথে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মডেলের গাড়িটি একটি হাইব্রিড কার যে গ্যাসোলিন এবং ব্যাটারি পাওয়ার ২টার সংমিশ্রণে চলে। গাড়িটি হালকা করার জন্য এর বডিতে ব্যাবহার করা হয়েছে কার্বন ফাইবার।
এক নজরে গাড়ির মূল বৈশিষ্ট-
ইঞ্জিন ৮৮৭ হর্স পাওয়ার, ৪.৬ লিটার ভি৮ ইঞ্জিন সাথে ২টি ইলেক্ট্রিক মোটর লাগানো আছে পেছনের চাকার সাথে যার দরুনএটি হাইব্রিড কার।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে গাড়িটির সময় লাগে মাত্র ২.৫ সেকেন্ড।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৯২৯,০০০$
৬। রোলস-রয়েস আছে তালিকার ৬ নাম্বারে। এই কোম্পানিটি শুরু থেকেই রয়্যাল ক্লাস গাড়ি উৎপাদনে খ্যাতি লাভ করেছে। আর এবারো সেটির বিকল্প হয়নি। পৃথিবীতে যত বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন তাঁরা রোলস-রয়েস গাড়ি চরতে ভালবাসেন। গাড়িটি ম্যাড বাই যুক্তরাজ্য।
এক নজরে দেখে নেই কি কি আছে এই গাড়িতে-
ইঞ্জিন ৪৫৩ হর্স পাওয়ার, ৬.৭৫ লিটার ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ ওঠে ৫.৮ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮,৯০০$
গাড়িটি রয়্যাল ক্লাস তাই এটির সাথে স্পোর্টস মডেলের তুলনা না করায় শ্রেয়।
৭। দুর্ভাগ্য জনক ভাবে আমাদের সকলের প্রিয় ফেরারি আছে তালিকার ৭ নাম্বারে। তালিকার এই অবস্থানে আছে ফেরারির নতুন ডিজাইন করা “এফ ১২ বিরলিনিটা”। এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ফেরারির মধ্যে এটি বেস্ট এক্সিলেট সমৃদ্ধ ফেরারি। এর গতিবেগ সর্বচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪০ কিলোমিটার। এটি ইটালির তৈরি অন্যতম একটি বিখ্যাত গাড়ির কোম্পানি।
গাড়ির মূল বৈশিষ্ট এক নজরে-
৭৪০ হর্স পাওয়ার, ৬.৩ লিটার, ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ৩.১ সেকেন্ডে।
গাড়িটি টেস্ট ড্রাইভে ২০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম হয়েছিলো মাত্র ৮.৫ সেকেন্ডে এবং সর্বচ্চ গতিবেগ ৩৪০ কিলোমিটার।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৩১৫,৮৮৮$
৮। বেন্টলি মালসানি আছে তালিকার ৮ নাম্বারে। গাড়িটি আমাদের কাছে অপরিচিত হলেও বহির্বিশ্বে এর বেশ ভালোই নামডাক আছে। এটিও একটি রয়্যাল ক্লাস কার। এবং এর ডিজাইনও বেশ রাজকীয়। আমি বলবো রোলস-রয়েস থকে এটি কোন অংশে কমা হবেনা।
আসুন এক নজরে জেনে নেই গাড়ির বিস্তারিত।
৫০৫ হর্স পাওয়ার, ৬,৭৫লিটার টুইন টার্বো ভি৮ ইঞ্জিন।
রয়্যাল ক্লাস গাড়ি তাই ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সময় লাগে ৫.১ সেকেন্ড। আমি বলবো খারাপ না।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮,৯০০$।
ম্যাড বাই যুক্তরাজ্য।
৯। তালিকার ৯ নাম্বারে আছে আমার প্রিয় অ্যাস্টন মার্টিন কোম্পানির নতুন মডেলের সুপার কার “ভেনকুইস ”। এটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি কোম্পানি যারা রেসিং প্লাস সেলুন এই দুই ধরনের গাড়ির সংমিশ্রণে গাড়ি তৈরি করে থাকে। এই গাড়িটি যারা কিনবে তাঁরা পাবে ইচ্ছা মতো কাস্টমাইজ করে নেবার সুজক। গাড়িটির বডি সম্পূর্ণ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি করা। ক্রেতারা ইচ্ছা করলে তাদের মনের মতো রঙ এবং ইন্টেরিওর ডিজাইন করে নিতে পারবেন।
এক নজরে গাড়ির প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট-
৫৬৫ হর্স পাওয়ার, ৬ লিটার ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ৪.১ সেকেন্ডে।
গাড়িটির বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৭৯,৯৯৫$
১০। আমার প্রিয় আরেকটি ব্র্যান্ড মার্সিডিজ বেঞ্জ আছে তালিকার একেবারে শেষ নাম্বারে। জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেঞ্জের এবারের নতুন মডেলের নাম দিয়েছে “সিএল৬৫ এএমজি কোপ”। মানসম্মত গাড়ি তৈরির জন্য প্রথম থেকেই এই কোম্পানির অনেক নাম দাক আছে। এরা এখন পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে গাড়ি বাজারে ছেড়েছে এবং তুলনামূলক ভাবে এই গাড়ি কোম্পানির খুব বেশি রিপোর্ট শোণা যায়না।
জেনে নেই কি আছে এই গাড়িতে যার দরুন এটি তালিকার ১০ নাম্বারে উঠে এসেছে-
৬২১ হর্স পাওয়ার, ৬ লিটার, বি-টার্বো ভি১২ ইঞ্জিন।
০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে পারে মাত্র ৪.২ সেকেন্ডে।
বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২১৫,৫০০$
বাংলাদেশের বাজারে গাড়ি গুলো পাওয়া যায় না বা ভবিষ্যতে আমাদের দেশে আসার সম্ভাবনাও অনেক কম তবে এটি মনে করবেন না যে বাংলাদেশে এমন গাড়ি নেই। ঢাকার রাস্তায় এখন ফেরারি, মার্সিডিজ বেঞ্জ, জেগুয়ার, ল্যান্ড রোভার, হ্যামার, পরশে, ইত্যাদি সব নামি দামী গাড়ি গুলো প্রাই চলতে দেখা যাচ্ছে। তাই আশা হতো হবার কিছু নাই।

No comments:

Post a Comment