Search This Blog

Wednesday, December 3, 2014

নরসিংদীর প্রীতমের আবিস্কার তাক লাগিয়ে দিল সারা বিশ্বকে !

মাইন্ড পাওয়ারের ইলেকট্রিক্যাল স্পন্দনের প্রয়োগ: মস্তিস্কের তরঙ্গের সাহায্যে চলে যে ইউনিসাইকেল সাইকপড!
আমাদের আজকের আয়োজনে বাঙ্গালী তরুন বিজ্ঞানী প্রীতমের মাইন্ড কন্ট্রোলিং ইউনিসাইকেল সাইকপড এর বিষয়ে বিস্তারিত শুরু করার বিষয়ে সবার আগে যে বিষয়গুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যেতে পারে-
সাইকপড ডিজাইন করেন ব্রিংহামেবসবাসকারীবাংগালীতরুন প্রীতম চক্রবর্তী ।
২৪ বছর বয়সের তরুন বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তী তার মস্তিস্কের তরঙ্গের ব্যবহার করে এই বাহন সাইকপডের চলাচল ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করেছেন ।
মস্তিস্কের তরঙ্গ সংকেতগুলিএকটিএপ্লিকেশনের মাধ্যমেসাইপডেপৌছায় যা মস্তিস্ক থেকে গ্রহন করার জন্য বিশেষ ধরনের গগলস্ বা চশমা ব্যবহার করা হয় ।
সাইকপডের রিচার্জেবল ব্যাটারীএকটানাচারঘন্টায় আঠারো মাইল বা আটাশ কিলোমিটার পথ চলতে পারে ।
এই আবিস্কার এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছেএবংবাজারজাত করার জন্য আরো গবেষনা ও পরীক্ষানিরীক্ষাকরার প্রয়োজন ।
হলিউডের বিখ্যাত ওয়াল-ই সিনেমার গল্প সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। ওয়াল-ই সিনেমাতে এক চাকার অটোমেটিক সেল্ফ গাইডেড হোবার চেয়ার যা কিনা ড্রাইভার বা বাহকের মস্তিস্কের সংকেত ব্যবহার করে চলতে পারে। এই ধারনা হয়তো ব্রিংহামের ২৪ বছর বয়সের তরুন বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তীর মতো আরো অনেক তরুন-তরুনীকে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে। কিন্তু আজকের এই গল্প ওয়াল-ই সিনেমার মতো কোন বিজ্ঞানী কল্পকাহিনীর অংশ বিশেষ নয়, কিন্তু একটি বাস্তব আবিস্কারের গল্প।
ডাবড সাইকপড হচ্ছে স্মার্টফোন এপ্লিকেশনের সাথে সংযুক্ত এক ধরনের রিচার্জেবল ডিভাইস যা মস্তিস্কের সংকেত গ্রহনের বিশেষ ধরনের গগলসের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই গগলস বাহকের মস্তিস্কের ইমপালস বা স্পন্দন স্মার্ট ফোনের এপ্লিকশনে প্রেরন করে থাকে যা সাইকপড নামের বাহনটির চলার গতিপথ নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ২৪ বছর বয়সের তরুন বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তী তার মস্তিস্কের তরঙ্গের ব্যবহার করে এই বাহন সাইকপডের চলাচল ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রনের এই বিশেষ ডিভাইস বা বাহনটি আবিস্কার করেছেন।
সাইকপড চলাচল ও নিয়ন্ত্রনের জন্য মস্তিস্ক থেকে প্রেরিত তরঙ্গ ব্লুটুথের মাধ্যমে এপ্লিকেশনে প্রেরন করা হয়। অতপর এই বৈদ্যুতিক সিগনাল কমান্ডে রুপান্তর করা হয়। যেমন, স্টার্ট নেওয়া, ত্বরন, মন্দন, ডানে ও বায়ে মোড় নেওয়া।
মটরযান বা আকাশযান ড্রাইভার হুইলের ন্যায় মাইন্ড পাওয়ারের সাহায্যে এটাও পার্শ্ব পরিবর্তন করে চলতে পারে। তরুন বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তী একজন ফ্রি-ল্যান্স ডিজাইনার। প্রীতম সময়ের কণ্ঠস্বরকে টেলিফোনে জানান; এই ধারনাটি তার মাথায় এসেছে ওয়াল-ই সিনেমার ব্রেইন কমান্ডের হোবার চেয়ার দেখার পরে। তিনি বলেন: সর্বনিু শক্তি ব্যবহার করে ব্যবহার করা সম্ভব, আমি এমন একটি বাহন সাইকপড তৈরী করতে চেয়েছিলাম।
চীন থেকে প্লাস্টিকের ছাঁচ আমদানী করার পুর্বে আমি এই জাতীয় মেশিনারীজ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করে আসছিলাম। তিনি যোগ করেন।
প্রীতমের তৈরী সাইকপড সর্বসাকুল্যে ৫৫ পাউন্ড বা ২৫ কেজী এবং সবোর্চ্চ প্রতি ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে চলতে পারে। এবং একনাগাড়ে চারঘন্টা বা ২৮ কিলোমিটার চলতে পারে।
ঝুকিযুক্ত এলাকা এবং নিরাপদ এলাকা সনাক্ত করার জন্য প্রীতম বিশেষ ধরনের গগলসও ডিজাইন করেন। গগলস্ যখন নির্দিষ্ট এপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই ধরনের স্থান বা গতিপথ সনাক্ত করে থাকে তখন সাইকপড অটোমেটিক তার গতি কমিয়ে দেয় বা বাড়াতে পারে। এই অবস্থার নামকরন করা হয়েছে সাইকো মুড, কারন এটাকে সাইকোলজি নিয়ন্ত্রন করা হয়।
এই প্রযুক্তির নামকরন করা হয় সাইকপড, যা- মুপড (moped), ইউনিসাইকেল (unicycle), এবং মনোবিদ্যা (psychological) প্রযুক্তির সংমিশ্রন করা হয়েছে।
প্রীতম আরো বলেন; সেইদিন বেশী দুরে নয় যখন রাস্তায় এই জাতীয় বাহনের ব্যবহার উন্মুক্ত করা হবে। আমি ক্রমাগত সাইকপডের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, যাতে করে এই পন্যটি বাজারজাত করার মতো উপযুক্ত হতে পারে।
সাইকপডের সর্বশেষ সংরক্ষন তৈরী করা হয়েছে ব্লুটুড বেজড মোশন সেন্সর ট্র্যাকার প্রযুক্তিতে।
মি. প্রীতম এই আবিস্কারের জন্য একটানা ১৮মাস শ্রম, গবেষনা এবং অর্থ ব্যায় করেছেন।
প্রীতম বলেন; একবার ব্যর্থ হবার পরে, আমি আবিস্কারের প্রাথমিক অবস্থা থেকে আবার শুরু করে, ডিজাইন পরিবর্তন এবং সমস্যাগুলি সমাধান করেছি যেখানে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কিছু ত্র“টি ছিল। আমি এখনো সাইকপড উন্নয়নের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে যাচ্ছি যতক্ষন না এই পরিকল্পনাটা পরিপুর্নরুপ লাভ করে এবং আমিও আমার আবিস্কার নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারি।
তরুন বিজ্ঞানী প্রীতম চক্রবর্তীর ব্যাক্তিগত পরিচিতি:
তরুন বিজ্ঞানী মি. প্রীতম চক্রবর্তী বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার এক প্রথাগত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ছোটবেলা থেকেই তার বিজ্ঞান – প্রযুক্তি এবং আর্ট ওয়ার্কের প্রতি আগ্রহ ছিল। তিনিযুক্তরাষ্ট্রেপড়াশোনাকরেছেন এবং বিখ্যাত ব্রিটিশ মেনসা হাই আইকিউ সোসাইটি (www.mensa.org.uk) এর সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি বিশেষ করে তার মা অনিমা চক্রবর্তীর কাছ থেকে বিজ্ঞান ও গবেষনার অনুপ্রেরনা পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ফটোগ্রাফি, শিশুদের মনোবিজ্ঞান, খাদ্য, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি, নির্মান, পরিবেশ ও বাসস্থান, পুষ্টি, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং আর্থ সামাজিক বিষয় সমুহের উপর ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। পনের বছর বয়স থেকেই তিনি ফ্রিল্যান্স কাজকর্ম করতে শুরু করেন। মি. প্রীতম ফটোগ্রাফির উপরে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য স্পেন গিয়েছিলেন। এই ফটোগ্রাফির উপরে পড়াশোনা তাকে সাইকপড নামের এক চাকার বাহনটি ডিজাইন করতে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছিল। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ’সাইকপড’ এর আবিস্কার তাকে তরুন বিজ্ঞানীহিসেবেবিশ্বজুড়েপরিচিতিএনেদেয়। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং তার আবিস্কৃত ’সাইকপড’ বাজারজাত করার মতো উন্নততর উৎপাদনের জন্য কোন বিনিয়োগকারী খুজছেন। কিন্তু তার আবিস্কৃত সাইকপড বাহনটি মটরসাইকেলের ন্যায় ব্যবহার হতে পারবে কিংবা শুধু মাত্র স্কেটিং স্যু এর ন্যায় স্পোর্টস ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার হবে? এই বিষয়ে যথেষ্ট বিতর্ক থাকায় এখন পর্যন্ত বড় কোন বিনিয়োগকারী আগ্রহ দেখায় নি। কারন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য জাতীয় পর্যায়ে সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন। তবে তিনি ফান্ড রেইজিংএর মাধ্যমে এটাকে আরো উন্নত করে ক্ষুদ্র পরিসরে বাজারজাত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তার সাথে যোগাযোগ করা যাবে এই ইমেইল ঠিকানায়:
mobile369009@gmail.com ।
তার এই আবিস্কার মানব সভ্যতার যোগাযোগ ব্যবস্থায় নি:সন্দেহে আরো একটি বড় অর্জন যোগ করেছে।

No comments:

Post a Comment