বর্তমান যুগটা এমন যে কে কার থেকে বেশী বড় বা বিশাল কিছু করে দেখাবে। প্রাই পরতিদিনিই চলছে পাল্লা দিয়ে নিত্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন আর ঠিক সেই পথ ধরে কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যে তৈরি করে দেখালো বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। এই বিমানটি প্রাই ৩০০ ফুট দীর্ঘ এবং এটি তৈরি করা হয়েছে হেলিকপ্টার, এয়ারশিপ ও উড়োজাহাজ এই তিনের সমন্বয়ে। বিমানটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি তার জ্বালানি ট্যাঙ্ক একবার ফুল বা পরিপূর্ণ করার পরে একটানা তিন সপ্তাহ ধরে আকাশে উড়তে সক্ষম। আর ঠিক এই কারনে সবাই বেশ উৎসাহিত কারন এখনো এমন অনেক বিমান আছে যেগুলার শুধুমাত্র ফুয়েল ট্যাঙ্ক লোড দেবার জন্য যাত্রা বিরতি দিতে হতো। যেটি যাত্রীদের কাছে সত্যি খুব বিরক্তিকর মনে হতো।
এর আগে সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ হিসেবে পরিচিত ছিল এয়ারবাস কোম্পনির এ-৩৮০ এবং বোয়িং কোম্পানির ৭৪৭-৮। বর্তমানে যে নতুন উড়োজাহাজ আবিষ্কার করা হয়েছে সেটি গত দুটির চেয়ে প্রায় ৬০ ফুট বেশি দীর্ঘ হবে। এখনো পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি তবে গবশকেরা চেষ্টা করে যাচ্ছে যে এই উড়োজাহাজকে যেন পানিতেও অবতরণ করানো যায়। তাঁরা বলেছেন যে তাঁরা যথেষ্ট আশাবাদী এবং খুব তারারারি নাকি আমাদের কে এই বিষয়ে একটি শুভসংবাদ দিতে পারবে। আসলে বিমানটি তৈরি করা হচ্ছে একটি শক্তিশালী পরিবহন বিমান হিসেবে।
প্রাই ৬০০ কোটি পাউন্ড ব্যয়ে নতুন উড়োজাহাজটি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হাইব্রিড এয়ার ভেহিক্যালস লিমিটেড (এইচএভি)। মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য এই বিমানটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবে এই বছরের শেষ নাগাদ নতুন উড়োজাহাজটি দিয়ে প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করার কথা চিন্তা ভাবনা করেছে কোম্পানিটি। বিমানটি পরবর্তীতে আরও বড় আকারে তৈরির করার চিন্তা ভাবনা আছে। এবং তখন এটি লম্বাই ৩৯০ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। আর প্রশস্ততা ও উচ্চতা হবে যথাক্রমে ১৯৬ ফুট ও ১১৫ ফুট। বিমানটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে মালের পাশাপাশি সে নুন্নতম ৫০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে। এবং যাত্রীর পাশাপাশি এটি প্রায় ৫০ টন ওজনের জিনিসপত্র পরিবহনে সক্ষম হবে বলে মনে করছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচএভি।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ম্যাকগ্লেন দাবি করেছেন যে তাঁরা বর্তমান বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে। তিনি বলেন, নতুন উড়োজাহাজটি তুলনামূলক কম কার্বন নিঃসরণ করবে, একবার জ্বালানি নিয়েই কয়েক দিন উড়তে পারবে এবং সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যে এটি বিমানবন্দর ছাড়াই যেখানেই প্রয়োজন প্রায় সেখানেই হেলিকপ্টারের মতো অবতরণ করতে পারবে।
Search This Blog
Tuesday, December 2, 2014
বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রিবাহী বিমান
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment