Search This Blog

Tuesday, December 9, 2014

পৃথিবীতে যত বিস্ময়কর ফ্লাইওভার !

যানজট বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের একটি প্রধান সমস্যা। সাধারণত আমাদের মতো গরিব দেশের এই সমস্যাটা সবথেকে বেশী দেখা যায়। যেমন ইন্ডিয়া, পাকিস্থান ইত্যাদি। দিনে দিনে যানজট কমাতে বিভিন্ন দেশ তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ ও তার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আমরাও উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো পৃথিবীর ঠিক তেমন কিছু ফ্লাইওভারের সাথে যেগুলা শুধু দৃষ্টি নান্দনিকই না শহরের যানজটে নিরসনে রেখেছে চরম কার্যকরী পদক্ষেপ।

শুরুতেই যার কথা বলতে হবে সেটি হচ্ছে আমাদের কুড়িল ফ্লাইওভার-

এক কথায় এটি দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি আমাদের দেশের যানজট নিরসনে রেখেছে চরম ভুমিকা। ফ্লাইওভার টি এয়ারপোর্ট সড়ক ও প্রগতি সরণির সংজক স্থলে নির্মিত হয়েছে। সম্পূর্ণ স্থাপনাটি তৈরি করতে ব্যায় হয়েছে প্রাই ৩০৬+ কোটি টাকার মতো। ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩.১ কিলোমিটারের মতো, উচ্চতা ১৪.৫ মিটার এবং প্রস্থ ৯.২ মিটারের মতো। উড়াল সেতুটি দেখতে এতো সুন্দর তার কারন হচ্ছে এটির মধ্যে আছে ৪টি ঘূর্ণিও মান যায়গা যেটি দেখতে অনেকই সুন্দর দেখায়। যারা আমার মতো সেতুটি দিয়ে পারাপার হয়েছেন তাঁরা এই অনুভুতি টি বুঝতে পারবেন। ফ্লাইওভার টি দাড়িয়ে আছে তার মোট ৬৭ টি পায়ের অপরে আর এটি নির্মাণ করতে মোট পাইলিং করা হয় ২৯২ টি। ফ্লাইওভারটি চালু করার পর থেকে ওই এলাকার যানজটের চেহারাই পাল্টে গেছে। এখন আর আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষের সময় নষ্ট হয়না।

সাংহাই ফ্লাইওভার, চিন-

পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এবং বৃহত্তম ফ্লাইওভার হচ্ছে চিনের সাংহাই ফ্লাইওভার। পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরের যানজট নিরসনের জন্য পর্যায়ক্রমে এটি তৈরি করা হয়েছে। ফ্লাইওভারটি এতো বড় যে এটির ওপর দিয়ে একই সময়ে ৫০ হাজারের মতো গাড়ি চলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ সাংহাই সহরের যানজটের চিত্র প্লাস শহরের সৌন্দর্য দুই পরিবর্তন করে দিয়েছে এই ফ্লাইওভারটি। পৃথিবীর অন্যতম ব্যাস্ত এই ফ্লাইওভারটি তৈরি করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে কর্তিপক্ষকে। পরবর্তীতে অনেক গুলা উড়াল সেতুকে একত্রে করে তৈরি হয় ফ্লাইওভার।

ডালাস ফ্লাইওভার, ইউএসএ-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক গুলা ফ্লাইওভার আছে তারমদ্ধে ডালাস ফ্লাইওভারটি অন্যতম। এই সেতুটি তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে প্রাই ২৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। ২০০৫ সালে এটি সাধারণ জনগনের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেতুটি এতো বড় যে এটির ওপর দিয়ে একশাথে প্রায় ৫ লক্ষের মতো গাড়ি চলাচল করতে পারে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে এই সেতুটি ১২ তলার মতো উঁচু এবং এটি আলাদা আলাদা ৩৭ টি সেতু একত্রে করে তৈরি করা হয়েছে। সেতুটি এতো আধুনিক করে তৈরি করা হয়েছে যে, যে কেউ এই সেতুর কাছে আসলে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে।

হেব্বাল ফ্লাইওভার, ভারত-

যানজটের দিকে তাকালে বাংলাদেশের থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই ভারত। তাদের অবস্থা আমাদের মতনই করুন। দিনে দিনে ভারত অনেক ফ্লাইওভার বানিয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হেব্বাল ফ্লাইওভার। এটি ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে নির্মিত হয়েছে। ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য ৫.১৫ কিলোমিটার এবং এটি তৈরি করতে প্রাই ২০ একরের মতো জমি দরকার হয়েছে। এই ফ্লাইওভারটি বিশ্বের সেরা ১০ টি ফ্লাইওভারের মধ্যে একটি হিসেবে স্থান পেয়েছে। এটির মোট বাঁকের সংখ্যা ৫টি এবং লেন হচ্ছে মোট ৬টি। এই ৬টি লেন দিয়ে একসঙ্গে গাড়ি চলতে পারে। বহিরবিশ্বে এটির ডাবল লেন ফ্লাইওভার হিসেবেও অনেক সুনাম রয়েছে। সর্বোপরি ফ্লাইওভারটি অনেকই সুন্দর।

দিনে দিনে যেভাবে ইঞ্জিনিয়ার রা আগাচ্ছে তাতে আমার মনে হয় আর বেশী দূরে নয় যেদিন আমরা আকাশ গিয়ে বাড়ী বানাবো। সিরিয়াস নিয়েন না কইলাম এটা জাস্ট মজা করে বললাম।

No comments:

Post a Comment