Search This Blog

Thursday, December 18, 2014

মঙ্গলের মাটিতে প্রাণ?

মঙ্গল গ্রহের মাটিতে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে কিউরিওসিটি রোভার। মঙ্গলের মাটি থেকে রহস্যময় মিথেন নির্গত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে নাসার পাঠানো রোভারটি। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এলিয়েন বা ভীনগ্রহের কোনো জীবাণু থেকেই তৈরি হচ্ছে এই মিথেন। এক খবরে জানিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট।
গবেষকেরা বলছেন, সাধারণত ভূতত্ত্ব কিংবা অন্য কোনো তত্ত্ব দিয়ে রহস্যময় এই মিথেনের ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না।
২০১২ সালে মঙ্গলে অবতরণের পর থেকে মঙ্গলের মাটিতে অণুজীব খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রোবট যান কিউরিওসিটি। মঙ্গলের মাটিতে মিথেনের এই গজাল কীভাবে তৈরি হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা তার ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও দাবি করছেন, ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়াসদৃশ জীবন্ত অণুজীবই এর কারণ।
গবেষকেরা বলছেন, যদি জীবন্ত কোনো অণুজীব থেকে এই গ্যাস তৈরি হয়, তবে তা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ, পৃথিবীতে ৯৫ শতাংশ মিথেন গ্যাস তৈরি হয় ক্ষুদ্র অণুজীব থেকে। এর পাশাপাশি অজৈবিক প্রক্রিয়াতেও এ ধরনের গ্যাস তৈরি হতে পারে।
নাসার গবেষকেরা বলছেন, কিউরিওসিটিতে এখন জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে বারবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ২০২০ সাল পর্যন্ত পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে কিউর ২০২০ সালে মিথেনের উত্স খুঁজে বের করতে মঙ্গলের মাটিতে মনুষ্যবিহীন মিশন পরিচালিত হবে।
অবশ্য তার আগে ২০১৯ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এক্সোমার্স মিশন থেকে আরও তথ্য পাবেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৯ সালে ৩০০ কেজি ওজনের একটি রোবটযান মঙ্গলের মাটিতে নামবে এবং দুই মিটার পর্যন্ত গর্ত খুঁড়ে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে দেখবে। এ ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য অত্যাধুনিক বেশ কিছু প্রযুক্তি এই রোভারে থাকবে।
মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরির গবেষক ড্যানি গ্লাভিন বলেছেন, ‘মঙ্গলের মাটিতে আমরা কয়েক দশক ধরেই অণুজীবের সন্ধান করছিলাম। এটি সত্যিই অসাধারণ একটি আবিষ্কার। মঙ্গলের মাটিতে আমরা প্রথমবারের মতো জৈব উপাদানের খোঁজ পেলাম। এটা আমাদের জীবনের মূল রাসায়নিক উপাদান খুঁজে বের করার উত্সাহ আরও বাড়িয়ে দেবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে এই জৈব উপাদানের উত্স কোথায় তা খুঁজে দেখা।’
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আবারও গর্ত করে তা থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে কিউরিওসিটি। এরপর তা পরীক্ষা করে আরও নিশ্চিত ফল জানাবে।

No comments:

Post a Comment