মেঘলা দিনে বাইরে বের হয়েছেন পথ চলতে চলতে হঠাৎ দেখলেন বৃষ্টি নামলো ঝুম ঝুম করে কিন্তু বৃষ্টির পানি আপনাকে ভেজাতে পারছে না। কি ভাবছেন এমনও আবার হয় না কি? হুম এবার সত্যি সত্যি এমন কিছু হবে। তবে শুনুন কী ভাবে এটি সম্ভব হবে।
অচিরেই বাজারে আসছে চলেছে নতুন একধরণের ছাতা যার নাম দেয়া হয়েছে ‘অদৃশ্য ছাতা’। ছবিতে যেমনটি দেখতে পারছেন ঠিক তেমনি পাইপের মতো দেখতে এই ছাতার মাথায় কোনও ওয়াটারপ্রুফ প্লাস্টিক নেই। তা-ও হাতে এই পাইপ আকৃতির ছাতা থাকলে, বিন্দুমাত্র জল পড়বে না শরীরে। তবে কষ্টের ব্যাপার হলো এই ছাতাটি রোদের হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারবে না।
বিজ্ঞানীরা ছাতাটির নাম করন করেছে ‘এয়ার আমব্রেলা’ নামে। পাইপের মতো দেখতে এই ছাতার ওপরের অংশটি বড়। ছাতাটি হাওয়ার সাহায্যে আপনার ওপর কোনরকম পানি পড়তে দেবে না মানে ওপর থেকে যে বৃষ্টির পানি আপনার ওপরে পরবে সেটি এই হাওয়ার প্রেসার আপনার থেকে দূরে সরিয়ে দিবে যার কারনে এটির নাম দেয়া হয়েছে এয়ার আমব্রেলা। ছাতাটির একেবারে নীচে একটি সুইচ রয়েছে। এবং তার ওপর বসানো আছে কন্ট্রোলার, লিথিয়ম ব্যাটারি এবং এয়ার প্রেশার দেবার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে ইলেক্ট্রিক মোটর।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এই ছাতাটি কাজ করবে?
আপনি যখন ছাতাটির মোটর চালু করবেন তখন এটি নীচ থেকে হাওয়া টেনে নিয়ে ওপরে পাঠাবে। ফলে এই হাওয়ার ধাক্কায় বৃষ্টির পানি আপনার ওপরে না পড়ে কিছুটা দূরে গিয়ে পড়বে। এয়ার আমব্রেলার তিনটি মডেল রয়েছে এবং একটি A যেটি ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং এর ব্যাটারি প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এয়ার আমব্রেলার আরও দুটি মডেল হচ্ছে যথাক্রমে B যেটি ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং এয়ার আমব্রেলা C যেটি কিনা ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা। এই দু’টি ছাতার ব্যাটারি মিনিমাম ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্য কিকস্টার্টার প্রোজেক্ট হিসেবে এটি শুরু করা হয়েছিল। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ হাজার ডলারের প্রয়োজন ছিল। তবে এই প্রকল্পটি এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করে যে, লক্ষ্যমাত্রার ১০ গুণ বেশি ১,০২,২৪০ ডলার ফান্ড পাওয়া যায়। বর্তমানে এই ছাতাটিকে আরও উন্নত করার কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই ছাতার উৎপাদন শুরু হবে।
No comments:
Post a Comment