মানুষ সাধারণত রাতের বেলা একটু অন্ধকার হলে আর কিছু দেখতে পারে না। কিন্তু এই সমস্যা মনে হচ্ছে আর বেশিদিন থাকবে না কারন বিজ্ঞানীরা এবার এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করেছে এবং বেশ আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছে তারা। এমন খবরই জানিয়েছে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমেরিকার বিজ্ঞানীরা গ্রাফিন নামের একটি বিশেষ পদার্থ দিয়ে এক ধরণের উপাদান বানিয়েছেন, যা কিনা খুব সহজে কন্টাক্ট লেন্সের সাথে ব্যবহার করা যাচ্ছে।
নতুন আবিষ্কৃত লেন্সের মাধ্যমে ব্যাবহার কারীরা ইনফ্রারেড বা অবলোহিত রশ্মি থেকে শুরু করে সকল প্রকার দৃশ্যমান এবং অতিবেগুনী রশ্মিতেও যেকোনো কিছু দেখতে সক্ষম হবেন। নবনির্মিত গ্রাফিন উদ্ভাবনাটি সাধারণ কন্টাক্ট লেন্স কিংবা সেলফোনের সাথেও খুব সহজে ব্যবহার করা যাবে। এই ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর সহকারী অধ্যাপক “ঝাহোই ঝং জানান” তারা লেন্সটির ডিজাইন অত্যন্ত পাতলা করে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যার ফলে এটি স্পর্শকাতর যায়গাতে খুব সহজে ব্যাবহার করা যাবে।
বর্তমানে সেনাসদস্যরা অন্ধকারে দেখার জন্য একটি পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে তবে সেটি ব্যাবহার করার জন্য বিশাল আকৃতির ‘কুলিং’ বা শীতলীকরণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় কারন এটি না করলে যন্ত্রের ব্যবহারকারী নিজস্ব তাপ বিকিরণে দিক হারিয়ে ফেলেন। অবশ্য নতুন আবিষ্কৃত “গ্রাফিন মডেলে” এই ধরনের ঝামেলা একেবারেই নেই আর এটি খুবিই সাধারণ ভাবে ডিজাইন করা এবং এটি ব্যাবহার করার জন্য কোনো বড় যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। মাত্র কয়েকটি স্তরের অণু দ্বারা গঠিত এ পাতলা জিনিসটি মানুষকে খুব সহজে অন্ধকারে দেখতে সক্ষম করে তুলবে। এটি আলোর বর্ণালী বা ইনফ্রারেড রশ্মি ধারণ করার মাধ্যমে অন্ধকারে দেখার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
বিশিষ্ট গবেষক “ঝাহোই ঝং” মনে করেন তাঁর উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তিটি শুধুকন্টাক্ট লেন্সের ব্যাবহারের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি ব্যাবহার হতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তার এই নতুন আবিষ্কার ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। চিকিৎসকরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজে একজন রোগীর দেহের রক্তপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
Search This Blog
Tuesday, December 2, 2014
রাতের অন্ধকারেও মানুষ সব দেখতে পাবে !
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment