আপনি যদি মনে করে থাকেন যে এই গুগল বাসটি যাত্রী পরিবহন করবে তবে এটি আপনার ভুল ধারণা কারন গুগলের এই বাসটি যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়। বাসটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান করা। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই বাসটির উদ্বোধন করা হয় এসময় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন গুগলের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের হেড অব ইমার্জিং মার্কেটস জেমস ম্যাকক্লুর।
জেমস ম্যাকক্লুর মনে করেন বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশাল এক সম্ভবনা আছে আর এখানকার তরুণেরা যদি সঠিক গাইড লাইন পায় তবে তারাও অনেক ভালো করতে পারবে। গুগলবাসটি আগামী ১ বছরে বাংলাদেশের ৩৫ টি স্থানে ঘুরবে এবং ৫০০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অধ্যয়নরত স্নাতক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট-বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করবে। বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে করে ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করে নিজ নিজ প্রচেষ্টায় ব্যবসায় ও কোনো প্রকল্প তৈরি এবং পরিচালনার কলাকৌশল জানতে পারেন; সেজন্য গুগলএ উদ্যোগ নিয়েছে। বাসটির রুটিন হচ্ছে প্রতদিন ৪ থেকে ৫ টি ইউনিভার্সিটি তে জাওয়া এবং সেখানে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেয়া।
গুগলবাসটিতে আসনগুলো এমনভাবে সাজান হয়েছে যে, প্রতিটি আসনের সামনেই থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ-সংবলিত মনিটর ও সাউন্ড সিস্টেম বসানো রয়েছে। এ মনিটর বা পর্দা ও সাউন্ড সিস্টেমে অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কলাকৌশল ও উপযোগিতা শেখাতে গুগল বাসের কর্মশালায় একজন প্রশিক্ষক থাকবেন। সেসঙ্গে তাদের গুগলের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে। গুগলের এসব পণ্য-সেবার মধ্যে রয়েছে গুগলসার্চ, ক্রোম, ডকস্, ম্যাপস, ইউটিউব, গুগলপ্লাস ইত্যাদি।
গুগলবাস এর মূল পরিকল্পনা গুলো হচ্ছে-
স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ব্যাবহার করে কিভাবে গুগলের প্রোডাক্ট গুলো ব্যাবহার করা যায়।
তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি তে যাবে এবং সেখানকার স্টুডেন্টদের প্রশিক্ষন প্রদান করবে।
আরও থাকছে স্ট্রিট ভিউ যেখানে বড় পর্দার মাধ্যমে একশাথে অনেক জনকে সেখান হবে এবং এইটা পরবর্তীতে আরও অনেকদুর বিস্তৃত করা হবে।
গুগলের ইচ্ছা আছে যে বাংলাদেশ থেকে যেন তারা অন্তত ৫ লক্ষাদিক স্টুডেন্ট কে অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষন দিতে পারে।
এখন দেখার বাকি যারা তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিবে তারা কেমন ফিডব্যাক দেয়। যেহুতু গুগলমামা সার্ভিস টি দিচ্ছে, এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে আশা করা যায় স্টুডেন্টরা তাদের কাছ থেকে ভালো কিছুই শিখবে এবং তাদের অনেক উপকারে আসবে। পরিশেষে গুগল মামাকে একটা ধন্যবাদ জানাতে চাই এত সুন্দর একটি পদক্ষেপ নেবার জন্য আর শুভ কামনা সেইসব শিক্ষার্থীদের যারা গুগলের কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিবে। বিস্তারিত আরও জানতে পারবেন পোস্টে দেয়া ভিডিওটি দেখলে।
Search This Blog
Tuesday, December 2, 2014
এবার বাংলাদেশে চালু হলো “গুগল বাস” !
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment