জটিল নীতিমালার জালে ফেসবুক-টুইটার ব্যবহারকারীরা!ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো কীভাবে ব্যবহারকা তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা কী কাজে লাগায়—সে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলে না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি আরও স্বচ্ছভাবে ব্যবহারকারীদের জানানোর জন্য বলেছে যুক্তরাজ্যের ‘কমন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সিলেক্ট কমিটি’। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
কমন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যবহার বিধিমালা ও শর্তাবলি সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে দীর্ঘ ও জটিল মনে হয়।
কমিটির সদস্যরা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দেওয়া তথ্য কীভাবে কাজে লাগানো হয়, সে বিষয়টি ব্যবহারকারীরা ঠিকমত না। এ ছাড়া যেভাবে প্রাইভেসি ও ব্যবহার বিধিমালার দীর্ঘ বর্ণনা দেওয়া থাকে তা পড়তেও যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়। প্রাইভেসি নীতিমালা যেভাবে করা হয় তা শেকসপিয়ারের রচনা পড়ার মতোই দুর্বোধ্য।
ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন অ্যাপের কথাও বলা হয়েছে, যেগুলো প্রয়োজন ছাড়াই অনেক তথ্য দিতে ব্যবহারকারীকে জোর করে।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে ওই সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি-সংক্রান্ত নীতিগুলো ব্যবহারবান্ধব করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হয়, যাতে কোনো আইনি জটিলতায় পড়লে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পার পেয়ে যেতে পারে।
কোনো অ্যাপ বা কোনো ওয়েবসাইট কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে, কীভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করবে এবং নীতিমালা সহজ করবে, সে-সংক্রান্ত মানদণ্ড সরকারকে ঠিক করার জন্য ওই প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথা দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে বিষয়টি পরিষ্কার করে তাদের জানাতে হবে। ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে তাঁদ তথ্য নিয়ে গোপনে পরীক্ষার জন্য ফেসবুকের সমালোচনা করা হয়েছে ওই কমিটির প্রতিবেদনটিতে। সরকারেরও সমালোচনা করেছে ওই কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাইভেসি নীতিমালার নাম করে তথ্য সংগ্রহ ও তার ব্যবহারের কী প্রভাব পড়তে পারে, সে সম্পর্কে সরকারকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে।
Search This Blog
Tuesday, December 2, 2014
ফেসবুক-টুইটারে নীতিমালা সহজ করার নির্দেশ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment