Search This Blog

Tuesday, December 2, 2014

আলু দিয়ে ঘড়ের বাতি জ্বলবে, তবে কি বিদ্যুতের বিকল্ব ?

আলু আমাদের দৈনন্দিন খাবারের মদ্ধে অন্যতম একটি । এমন অনেকেই আছেন যাদের আলু অনেক পছন্দের খাবার। সত্যি বলতে আলু আমারও অনেক পছন্দের একটি খাবার। কেমন হবে যদি আপনি একটি আলু কে ব্যাবহার করে আপনার ঘড়ের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাতে পারেন। হ্যাঁ এমন অবাক করা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে হিব্রু ইউনিভার্সিটির গবেষক রাবিনোভিচ ও তার দল। তাঁরা গবেষণা করে দেখেছে যে একটি আলুর ভেতরে থাকে প্রচুর পরিমানে সৌরো শক্তি যেটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে শুধুএকটি এলইডি বাল্ব না মোবাইল এমনকি ল্যাপটপ চার্জ দেয়া এবং চালানো সম্ভব।
এখন শুনি কিভাবে এই কাজটি করা সম্ভব হলো।
আলু বা যেকোনো জৈবপদার্থ থেকে ব্যাটারি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে দুটি আলাদা ধাতব দণ্ডের। যার মদ্ধে একটি হবে অ্যানোড বা (নেগেটিভ) এবং অন্যটি হবে ক্যাথোড বা পজেটিভ। দণ্ড দুটি তামার তামার তৈরি হতে হবে। এরপর দণ্ড দুটি আলুর দুই প্রান্তে গেথে দিতে হবে আর দণ্ডের অপর প্রান্তের সাথে দুইটি পরিবাহী লাগানো থাকবে ঠিক ছবিতে যেমন দেয়া আছে অমন করে। পরবর্তীতে অ্যাসিডিক পদার্থকে সংশ্লেষণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। কি খুব সোজা মনে হচ্ছে না বেপার টা বাস্তবে এতো সোজা না কারন একটি আলু থকে আপনি যে পরিমান ভোল্টেজ পাবেন বা উৎপাদন হবে সেটি দিয়ে আপনার ঘড়ের বাতি জ্বলবে না। আর এই কাজটি করার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমানের আলু যেমনটি আপনি পোস্টে দেয়া ভিডিওতে দেখতে পারছেন।
সত্যি বলতে আমাদের কাছে এখন এই প্রযুক্তি নতুন বলে মনে হলেও ১৭৮০ সালে লুই গ্যালভানি নামের একজন বিজ্ঞানী এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি তার গবেষণা চলাকালীন সময় দেখতে পান যে, দুটি পৃথক ধাতুকে ব্যাঙের পায়ের সঙ্গে সিরিজ আঁকারে সংযোগ ঘটালে ব্যাঙের পা নড়ে। কিন্তু এটিও একটি সত্য কথা যে, ঘটনাটি শুধুব্যাঙ বা আলুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পৃথিবীতে এমন অনেক জৈবিক পদার্থ আমাদের আশেপাশে পাওয়া যায় যা থেকে খুব সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। যেমনটি করে দেখিয়ে ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ভোল্টা।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে তাঁরা এখন পর্যন্ত মোট বিশটি ভিন্ন জাতের আলু নিয়ে গবেষণা করেছে এবং ওই আলুগুলোর অভ্যন্তরের বিক্রিয়াও খেয়াল করেছে জাতে করে তাদের আলু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা আরও সহজ হয়ে গেছে।

No comments:

Post a Comment