সাইবেরিয়া যে দেশটিকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলে মানা হয়ে থাকে সেখানে দেখা গিয়েছে একটি বড় ধরনের গর্ত। ঠিক কি কারনে এই গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা এখনো কোন বিজ্ঞানী দিতে পারেনি। ইতিমধ্যে সেখানে গবেষণাকারীদের পাঠানো হয়েছে ঘটনাটির সঠিক কারন খুজে বের করার জন্য। সর্বপ্রথম এই গহ্বরের খোজ মেলে ইউটিউবের আপলোড করা একটি ভিডিওর মাধ্যমে। এই ঘটনার খবরটি সর্বপ্রথম ইউটিউবে আপলোড করা একটি ভিডিওর মাধ্যমে সবাই জানতে পারে। আর যে স্থানে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সাইবেরিয়ার ইমালো-নেনেৎস্কি অঞ্চল। এখানে সচরাচর কোন মানুষ যাওয়া আশা করেনা বল্লেই চলে।
গহ্বরটির সন্ধান জিনি পেয়েছে তার নাম বুলকা এবং এই ভিডিওটি তিনি সবার প্রথম আপলোড করে। ভিডিওতে বুলকা বলেছেন, এ গহ্বর এতোই বড় যে ধাক্কা খাওয়ার কোনো আশংকা না করে কয়েকটি এমআই-৮এস হেলিকপ্টার এর মধ্য দিয়ে চলে যেতে পারবে। তাহলে বুঝুন এটি কত বড় একটি গর্ত। এটির সন্ধান মিলেছে মস্কো থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সাইবেরিয়ার স্থায়ীভাবে বরফ ঢাকা অঞ্চলে। গহ্বরটির ভেতরের ব্যাসার্ধ হবে প্রায় ৪০ মিটার এবং বাহিরের অংশে ৬০ মিটারের মতো। ইতিমধ্যে সবাই এই গহ্বরের সৃষ্টি নিয়ে নানা ধরনের কথা বলে বেড়াচ্ছে। কেউ বলছেন , উল্কাপিণ্ডের আঘাতে এ দানবাকৃতি গর্ত হয়েছে। কেউ বলছেন ভিন গ্রহের প্রাণী এ গহ্বর সৃষ্টি করেছে। তবে সঠিক কারন এখনো সবার অজানা রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা এখনো পর্যন্ত আগুনে পোড়ার কোনো আলামত খুজে না পাওয়ায় উল্কার আঘাতে এ গহ্বর সৃষ্টির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। রাশিয়া প্রতি বছর যে পরিমাণ তেল-গ্যাস উৎপাদন করে তার ৮০ শতাংশই এ অঞ্চল থেকে। বিজ্ঞানীদের ধারণা করছে এখানে উচ্চচাপের গ্যাস জমা হয়েছিল এবং স্থায়ী বরফ গলে তা প্রচণ্ড বেগে আবহমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে আর পরবর্তীতে এই গর্তের সৃষ্টি হয়। এমনটি সবার ধারণা তবে কেও নিশ্চিত নয়।
তারা গবেষণা চালিয়ে গহ্বরের আশপাশে এবং সেখানে কোনো ধরনের যন্ত্রপাতি বা মানুষের তৎপরতার কোন চিহ্ন খুজে পাইনি। এ ছাড়াও তারা এটির আশপাশে উচ্চ তেজস্ক্রিয়তার কোনো অস্বাভাবি কিছু দেখেনি যার ফলে এটি ঘটতে পারে। তবে তারা আশাবাদী যে আর কিছুদিনের ভেতরে এই গহ্বরের প্রকিত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবে।
Search This Blog
Tuesday, December 2, 2014
পৃথিবীর শেষ প্রান্তে বড় একটি গর্ত, এটি কি কোন বড়ধরনের দুর্ঘটনা?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment