কমবেশি আমরা এখন সবাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা স্মার্টফোন ব্যাবহার করি। আর সেই শুজকে কিছু কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা তাদের কু-ইচ্ছা পুরন করার জন্য মোবাইলে ছড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক ক্ষতিকর ভাইরাস। ঠিক কি হয় যখন আপনার মোবাইলে ভাইরাস ধুকে পরে। এমন ঘটবে যে আপনার ফোন থাকা বেক্তিগত ছবি, ভিডিও, এসএমএস চুরি হয়ে যাচ্ছে অথচ আপনি থিকও পাচ্ছেন না। পরবর্তীতে দেখবেন আপনার ফোনের সেই বেক্তিগত ছবি কোন ওয়েবসাইটে পোষ্ট হয়ে আছে। ঘটনাটি খুব বেশি বিব্রতকর।
নতুন ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে সাইবার বিশেষজ্ঞরা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নয়া সমস্যার জনক আসলে এক মারাত্মক ট্রোজান ভাইরাস। এটি আপনার স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি করছে, এমনকি আপনার কনট্যাক্ট লিস্ট বা ফোন বুক অজান্তেই হ্যাক হয়ে যাবে। ফোন থেকে আপনার অনুমতি ছাড়াই কয়েকটি কন্ট্যাক্টের কাছে চলে যাবে আজে বাজে সব এসএমএস।
এই ধরনের মারাত্মক ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে জা করতে হবে-
-আপনি যখন স্মার্টফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করবেন যেমন, গুগল প্লে স্টোর, ফেসবুক, বা অন্যান্য সাইট তখন দেখবেন অনেক অনেক লোভনীয় অ্যাড আসবে আপনার সামনে। যেমন ক্লিক হেয়ার ফর ফ্রি $, ক্লিক হেয়ার ফর সানি লিওনি হট ফটো ইত্যাদি। এই ধরনের অ্যাড বা বিজ্ঞাপনে ভুল করেও ক্লিক করবেন না।
-অচেনা অজানা কোন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করবেন না প্লাস আপনার মেইল আইডি বা ফোন নাম্বার যেখানে সেখানে দিবেন না।
- যখন আপনার ফোনের নেট অন রেখে কোন অ্যাপস বা গেম খেলবেন তখন দেখবেন আপনার ফোনের একেবারে নিচে বা অপরে কিছু অ্যাড ভিউ করবে। চেষ্টা করবেন সেগুলা এড়িয়ে চলতে।
-অপরিচিত মানুষের মেইল বা মেইলে পাঠানো কোন লিংকে ক্লিক করবেন না। সর্বোপরি একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন যে, অনলাইনে ফ্রিতে কখন টাকা বা $ ইনকাম করা যায় না।
-যখন কোন ৩য় পক্ষ অ্যাপস স্টোর বা ওয়েবসাইট থেকে কোন অ্যাপস ডাউনলোড করবেন তখন ভালকরে সেই অ্যাপস গুলার ইউজার রিভিউ দেখে নিবেন। মানে যারা এর আগে এই অ্যাপস টি ব্যাবহার করেছে তাঁরা কি বলে বা তাদের বক্তব্য কি ছিল।
-বেক্তিগত ছবি বা অন্যান্য ফাইল নিজের ফোন না রাখাই ভালো যদিও রাখেন তবে সেগুলা কোন ওয়েবসাইট বা অন্য কোথাও আপলোড করবেন না।
-গুগল প্লে স্টোরে ফ্রিতে অনেক ভালো মানের এন্টিভাইরাস পাবেন যেমন, অ্যাভাস্ট মোবাইল সিকিউরিটি, মোবাইল কেয়ার, এভিজি, অ্যাভাইরা, নরটন, ইত্যাদি। ফ্রি হবার পরেও এই এন্টিভাইরাস গুলা অনেক ভালো কাজ করে।
- স্মার্টফোনে নেট ব্যাবহার করার জন্য অনেক মেগাবাইট প্রয়োজন পরে যার দরুন আমরা যখন কোন ফ্রি নেট ব্যাবহারের শুজক পাই সাথে সাথে ঝাপিয়ে পরি। এই ঘটনা তখন বেশি ঘটে যখন আমরা কোন ফ্রী ওয়াইফাই এর সন্ধান পাই। কোন কিছু না ভেবে সাথে সাথে সেখানে কানেক্ট করে ফেলি। যদি ভালো চান তবে এখনি এই ধরনের অভ্যাস বাদ দিন। মনে রাখবেন আজকাল অনেক হ্যাকার এই ধরনের ফ্রি ওয়াইফাই দিয়ে ফাঁদ পেতে রাখে। জখনি আপনি তাদের সাথে যুক্ত হবেন সাথে সাথে আপনার মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যাবে আর আপনার অজান্তে সব বেক্তিগত জিনিস সে পেয়ে যাবে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা প্রচুর পরিমানে ঘটেছে আর বাংলাদেশেও এর নজীর আছে। চেষ্টা করুন এইগুলা বর্জন করতে।
স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনি যদি একটু সচেতন হন তাহলে দেখবেন আপনার সাথে আর এমন কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না। আশা করি আমার আজকের লিখাটা আপনাদের উপকারে আসবে। আপনি যদি আরও নতুন কোন টিপস যেনে থাকেন তবে অবশ্যয় মানুষের উপকারের কথা চিন্তা করে সেটি কমেন্টস বক্সে লিখবেন। আজকের মতো এখানেই শেস করছি আগামিতে আবারো নতুন কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। আর হ্যাঁ আরেকটা কথা আপনি যদি আমার মতো নতুন কোন বিষয় নিয়ে পোষ্ট লিখতে চান তবে আপনাকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্লগে স্বাগত জানাই। তবে অবশ্যয় সেই লিখাটি বিজ্ঞান সম্মত বা যুক্তিযুত হতে হবে।
No comments:
Post a Comment