Search This Blog

Thursday, December 18, 2014

২০১৪ সালের সেরা ১০টি বাইসাইকেল আবিষ্কার।।

বাইসাইকেল চালানো আমাদের সবারই অনেক পছন্দের। ছোটবেলায় সাইকেল চালানো নিয়ে আব্বু-আম্মুর কাছে অনেক বকাও শুনেছে অনেকেই। তারপরেও কে শোনে কার কথা সময় পেলেই বের হতে হবে সাইকেল নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২০১৪ সালের বাইসাইকেল নির্ভর ১০টি সেরা আবিষ্কার নিয়ে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
১। স্কুইবুল প্রো-কোর টায়ার সিস্টেম- যারা মাউন্টেন বাইক চালায় তাদের জন্য চাকার হাওয়ার প্রেশার ঠিকমতো বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন হাওয়া যদি বেশি হয় তবে পাহাড়ে চলার সময় বাইকের চাকা মাটিকে ধরে রাখার আকর্ষণ হারাবে। আর যদি কম হয় তবে আপনি সেখানে সাইকেল চালাতেই পারবেন না। এর এই কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে ৩ স্তরের প্রো-টায়ার সিস্টেম।
২। হ্যান্ড গ্লভস সাথে টার্ন লাইট- আপনি যখন বাইসাইকেল চালাবেন তখন অনেক সময় ডানে-বায়ে যেতে হতে পারে। কেমন হবে যদি আপনার হাতের সাথে চলে আশে একটি টার্ন লাইট। জী এমন একটি হ্যান্ড গ্লাভস বাজারে এসেছে যেটা আপনি পড়ে সাইকেল চালাবেন আর প্রয়োজন মতো হাত উঁচু করে সিগন্যাল দিতে পারবেন। এটির দাম কিন্তু বেশি না মাত্র ৭৫$ এর মতো ।
৩। কালফি সিঙ্গেল কনভার্টেবল সাইকেল- অনেকেই আছেন যারা ডুয়াল সাইকেল চালাতে পছন্দ করেন। তবে এখানে একটি সমস্যা আছে, যেমন আপনি যখন দুয়াল সাইকেল চালাবেন তখন আপনার ইচ্ছা মতো এটি চলবে না। তবে নতুন এই ডিজাইনে আপনি চাইলে আপনার মনের মতো করে প্যাডেল করে সাইকেল চালাতে পারবেন।
৪। সোলার পাওয়ার স্কাই লক- এটি একটি অসাধারণ আবিষ্কার। ধরুন আপনি আপনার সাইকেলটি লক করে রেখে গেছেন হঠাথ একটি চোর আপনার বাইসাইকেলটি তালা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে গেলো। এমনটি প্রায় প্রায় হয়ে থাকে। আর সেই কথা মাথায় রেখে বাজারে এসেছে সোলার লক। এটি একটি ডিজিটাল লক সিস্টেম। আপনি চাইলে আপনার স্মার্টফোন দিয়ে ইচ্ছা মতো সাইকেলটির লক খুলতে পারেন। লকটিতে একটি ব্যাটারি আছে যেটি আপনি ইউএসবির মাধ্যমে বা স্বয়ংক্রিয় সোলার চার্জের মাধ্যমে চার্জ করতে পারবেন। আপনার পছন্দের বাইসাইকেল সেফ রাখার জন্য এটি একটি বেস্ট প্র্যাকটিস।
৫। বাইজেন বাইক- সচরাচর আমরা যেমন সাইকেল চালাই এই বাইসাইকেল তার উল্টা। মানে আমরা যেমন সাইকেল চালাতে হলে পুরো প্যাডেল ঘুরাতে হয় এটির ক্ষেত্রে ঠিক তেমন করতে হবে না। আপনি সাইকেলের সিটের ওপরে বশে জাস্ট প্যাডেল তা উপর নিচে করবেন আর সাইকেল চলবে। চালকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে প্যাডেলের সাথে ৩টি গিয়ার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। চালক তার সুবিধা মতো সেটি পরিবর্তন করে নিয়ে চালাতে পারবে।
৬। সিমানো ইলেক্ট্রনিক স্টাফিং- এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ইলেক্ট্রনিক ডিসপ্লে যা আপনার সাইকেলের সাথে লাগালে একই সাথে দেখতে পারবেন আপনার সাইকেলর গতি, কতো নাম্বার গিয়ারে আপনার সাইকেলটি চলছে, আপনার অবস্থান ইত্যাদি খুঁটিনাটি সবকিছু। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এটি ব্যাবহার করার জন্য আপনার আলাদা কোন ক্যাবল ব্যাবহার করতে হবে না।
৭। টায়ার পামচার ঠিক করার শর্টকাট- এটি একটি অসাধারণ টুলস। বাইসাইকেল যারা চালান তাদের একটি অন্যতম সমস্যা হচ্ছে “টায়ার পামচার বা লিক হওয়া”। যখন আপনার টায়ার পামচার হবে তখন এই টুলস দিয়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ডর ভেতরে সেটি সারীয়ে নিতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে সেই স্থানে আর এমন লিক হবেনা।
৮। সাস্পেন্সন চাকা- এবার আপনার বাইসাইকেল হবে আরও দিগুন আরামদায়ক। এই স্বয়ংক্রিয় সাস্পেনশন চাকা আপনার সাইকেলে লাগিয়ে নিলে যত খারাপ রাস্তাই বাইক চালান কোন ঝাকুনি অনুভব করবেন না।
৯। নতুন রাবার গ্রিপ- অনেক বাইসাইকেল আছে যেগুলার হাতল বা হ্যান্ডল আরামদায়ক হয়না। এটি একটি ইজি ফিট রাবার গ্রিপ যা আপনার হাতের মাপ অনুযায়ী ফিট হয়ে থাকবে আর আপনার ভ্রমন হবে আরমদায়ক।
১০। অতিরিক্ত সুরক্ষিত মাউনটেইন বাইক- পাহাড়ে সাইকেল চলানোর অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে আপনার সাইকেলের চেন ছিঁড়ে যাবার ভয়। এই সাইকেলটি এমনভাবে ডিজাইন করে হয়েছে যে যত জোরাজোরি করেন না কেন আপনার সাইকেলের চেন ছিঁড়বে না। অনেক সময় দেখা যায় ধুলাবালির কারনেও সাইকেলের চেনে বা গিয়ার বক্স লক হয়ে যায় ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এই সাইকেলের ক্ষেত্রে এমন কিছু হবেনা। সাথে গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাবেন ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন গিয়ার।
আমাদের আফসোস যে এতো সুন্দর সুন্দর নিত্য নতুন প্রযুক্তি আমরা ইচ্ছা করেই ব্যবহার করতে পারিনা। তবে আমাদের দেশের বাইকাইরা তাদের থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। ঢাকার রাস্তাই বের হলে এখন হর হামেশাই দেখা মিলে অনেক আধুনিক বাইকের। সত্যি বলতে বাইসাইকেলের কোন বিকল্প হতে পারেনা। এটি ব্যবহারে আপনি যেমন পাবেন পথ চলার সুবিধা সাথে সাথে হবে আপনার শারীরিক ব্যায়াম। আপনিও যদি মনে মনে যে একটি বাইসাইকেল কিনবেন তবে আমি বলবো আর দেরি না করে এখনি একটি বাইসাইকেল কিনে নেন।

No comments:

Post a Comment